Credits
Lyrics
রোদে রাঙা ইটের পাঁজা, তার উপরে বসল রাজা
ঠোঙা ভরা বাদাম ভাজা খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না
গায়ে আঁটা গরম জামা, পুড়ে পিঠ হচ্ছে ঝামা
রাজা বলে, "বৃষ্টি নামা, নইলে কিচ্ছু মিলছে না"
থাকে সারা দুপুর ধরে বসে বসে চুপটি করে
হাঁড়িপানা মুখটি করে আঁকড়ে ধরে শ্লেটটুকু
ঘেমে ঘেমে উঠছে ভিজে ভ্যাবাচ্যাকা একলা নিজে
হিজিবিজি লিখছে কী যে বুঝছে না কেউ একটুকু
ঝাঁঝাঁ রোদ আকাশ জুড়ে, মাথাটার ঝাঁঝরা ফুঁড়ে
মগজেতে নাচছে ঘুরে রক্তগুলো ঝনর ঝন
ঠাঠা-পড়া দুপুর দিনে, রাজা বলে, "আর বাঁচিনে
ছুটে আন বরফ কিনে, ক'চ্ছে কেমন গা ছনছন"
সবে বলে, "হায় কি হলো! রাজা বুঝি ভেবেই মোলো
ওগো রাজা মুখটি খোলো, কও না ইহার কারণ কি?
রাঙামুখ পানসে যেন তেলে ভাজা আমসি হেন
রাজা এত ঘামছে কেন, শুনতে মোদের বারণ কি?"
রাজা বলে, "কেই বা শোনে যে কথাটি ঘুরছে মনে
মগজের নানান কোণে, আনছি টেনে বাইরে তায়
সে কথাটি বলছি শোন, যতই ভাব যতই গোণ
নাহি তার জবাব কোন কুলকিনারা নাই রে হায়
লেখা আছে পুঁথির পাতে, "ন্যাড়া যায় বেলতলাতে"
নাহি কোনো সন্ধ তাতে, কিন্তু প্রশ্ন ক'বার যায়?
এ কথাটা এদ্দিনেও পারে নিকো বুঝতে কেও
লেখেনিকো পুস্তকেও, দিচ্ছে না কেউ জবাব তায়
লাখোবার যায় যদি সে যাওয়া তার ঠেকায় কিসে?
ভেবে তাই পাইনে দিশে নাই কি কিচ্ছু উপায় তার?"
এ কথাটা যেমনি বলা রোগা এক ভিস্তিও'লা
ঢিপ করে বাড়িয়ে গলা প্রণাম করল দু'পায়ে তাঁর
হেসে বলে, "আজ্ঞে সে কি? এতে আর গোল হবে কি?
নেড়াকে তো নিত্যি দেখি আপন চোখে পরিষ্কার
আমাদেরি বেলতলা সে, ন্যাড়া সেথা খেলতে আসে
হরে দরে হয়তো মাসে নিদেন পক্ষে পঁচিশ বার"
Written by: Prodip Ghosh